Tuesday, September 10, 2013
0 comments

EVM – Electronic Voting Machine ইভিএম – ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন

11:08 AM

EVM - Electronic Voting Machine এর শুরু থেকে শেষ পরযুন্ত

লেখাগুলি  জুন ২০১১ এ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (প্রস্তাবিত) এর পরিচিতিমূলক প্রকাশনার হুবহুএই ( লেখার  চিত্র এবং ভডিও) মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম হলো ভোট দানের সহজতর এক ব্যবস্থা। এতে কাগজের ব্যালট ও ব্যালট বাক্স নেই।
এই ব্যবস্থায় ব্যালট কাগজে সীল মেরে ভোট প্রদানের পরিবর্তে ভোটার পছন্দের প্রতীকের পাশে সুইচ টিপে ভোট প্রদান করবেন। সারা দিনের ভোট প্রাদন শেষ হলে মেশিন অতি দ্রুত জানিয়ে দেবে কোন্ প্রার্থী কত ভোট পেয়েছেন।
ইভিএম ব্যবহারের সুবিধা
   
ইভিএম ব্যবহার করার ফলে আমরা যে সুবিধা সমূহ পাব, তা হলো
(১) কোটি কোটি সংখ্যক ব্যালট ছাপানোর জন্য কাগজের খরচ, ছাপানোর খরচ, সেগুলো পরিবহনের খরচ, ভোট গণনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট লোকবলের খরচ সবই সাশ্রয় হবে।
(২) ভোটের ফলাফল হবে নির্ভুল।
(৩) নির্বাচনের ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে। এটি এর সবচেয়ে বড় সুবিধা।
(৪) ইভিএম যেহেতু কোন বাতিল ভোট গ্রহণ করে না তাই প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মূল্যায়ন হবে।
(৫) একই মেশিন পরবর্তী যে কোন নির্বাচনে ব্যবহার করা যাবে।
(৬) কেন্দ্র দখল করে ভোটের ফলাফল পাল্টিয়ে ফেলা সম্ভব হবে না।
ইভিএম-এর ইউনিট সমূহ
প্রতিটি বুথের জন্য একটি করে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়। প্রতিটি ইভিএম এর দুটি ইউনিট বা অংশ রয়েছে যথাঃ ব্যালট ইউনিট ও কন্ট্রোল ইউনিট। দুটি ইউনিট একটি তারের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে। মেশিনটি সম্পূর্ণ ব্যাটারী চালিত।
১. ব্যালট ইউনিট

ব্যালট ইউনিটটি থাকে বুথের ভেতরে। ব্যালট ইউনিটের উপর প্রার্থীর নাম ও প্রতীক ছাপানো থাকে। প্রতিটি প্রতীকের পাশে রয়েছে একটি করে সুইচ। কোন প্রতীকের পাশের সুইচটা চেপে দিলে তার পাশে একটি ছোট সবুজ বাতি জ্বলে ওঠে ও একবার দীর্ঘ বীপ ধ্বনি শোনা যায়। বাতি জ্বলা ও বীপ ধ্বনি শুনে ভোটার বুঝতে পারবেন যে তার ভোট গৃহীত হয়েছে। অক্ষরজ্ঞানহীন লোকও সহজেই ইভিএম দ্বারা ভোট প্রদান করতে পারবেন।ভোটার ভোট প্রদানের সাথে সাথে যন্ত্রটি ভোটের তথ্য তার মেমোরিতে নিয়ে নেয়। ইভিএম-এর মেমোরী নূন্যতম ১০ বছর তথ্য অবিকৃতভাবে ধরে রাখে।
২. কন্ট্রোল ইউনিট
কন্ট্রোল ইউনিট থাকে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সামনের টেবিলে। এই ইউনিটে “ব্যালট” নামক একটি সুইচ রয়েছে যা চাপলে বুথের মধ্যে রাখা সংযুক্ত ব্যালট ইউনিটটি একটি ভোট নেয়ার জন্য কার্যকর হয়। “ব্যালট” সুইচ চেপে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ভোটারকে ভোট দিতে বুথে পাঠান। ভোটার ভোট প্রদানের সাথে সাথে ব্যালট ইউনিটটি অকার্যকর হয়ে যায়। সেই অবস্থায় বারবার আরও ভোট দিলেও মেশিন তা গ্রহণ করে না। ভোট দান শেষে ভোটার বুথ থেকে বেরিয়ে গেলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটের “ব্যালট” সুইচটি চেপে পরবর্তী ভোটারের জন্য ব্যালট ইউনিটটি কার্যকর করতে পারেন। কন্ট্রোল ইউনিটে আরও কয়েকটি সুইচ রয়েছে। সেগুলি সম্পর্কে পরবর্তীতে বলা হয়েছে।
কন্ট্রোল ইউনিটের সামনের দিকে একটি বড় ডিসপ্লে সংযুক্ত রয়েছে যা সকলে দেখতে পারেন। ভোটার সঠিকভাবে ভোট দিতে পারলে ডিসপ্লেটির সংখ্যা এক বেড়ে যায়। এর ফলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বা পোলিং এজেন্টরা সহজে বুঝতে পারেন যে ভোটারের ভোটটি মোট ভোটের সঙ্গে যোগ হলো অর্থাৎ ভোটটি গৃহীত হলো।
ব্যালট ইউনিটে প্রার্থীর সংখ্যা
প্রতিটি ব্যালট ইউনিটে ১২ জন প্রার্থীর জন্য ব্যবস্থা থাকে। তবে কোন আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ১২-এর বেশী হলে দুইটি কিংবা তিনটি, এমন কি পাঁচটি পর্যন্ত ব্যালট ইউনিট একের সাথে অন্যের সংযোগ দিয়ে সর্বমোট ৬০ জন পর্যন্ত প্রার্থীর ভোট নেয়া সম্ভব। প্রার্থীর সংখ্যা যদি ১২-এর কম হয়, তাহলে অপ্রয়োজনীয় সুইচগুলোকে অকার্যকর করে রাখা হয়। ধরা যাক কোন আসনে ৭ জন প্রার্থী আছেন। সেই ক্ষেত্রে ব্যালট ইউনিটের ১ থেকে ৭ নম্বর পর্যন্ত সুইচ কার্যকর থাকবে বাকী সুইচগুলো অকার্যকর করে রাখা হবে বিধায় কেউ ওগুলোর কোনটায় চাপ দিতেই পারবে না।
ভোট গণনার পদ্ধতি
 
প্রতিটি বুথের ফলাফল আলাদাভাবে দেখা যায়। ভোট গ্রহণ শেষ হলে প্রথমে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটের “ক্লোজ” সুইচটা চেপে ভোট গ্রহণের সমাপ্তি টানবেন। এই সুইচটা চাপার পর ব্যালট ইউনিটটি আর কার্যকর করা যাবে না। এর পর সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার “ফাইনাল রেজাল্ট” সুইচটা চাপলে ব্যালটে প্রথম প্রার্থীর প্রতীকের নাম ও প্রাপ্ত মোট ভোট কন্ট্রোল ইউনিটের ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। “ফাইনাল রেজাল্ট” সুইচটি দ্বিতীয়বার চাপলে দ্বিতীয় প্রার্থীর, এভাবে একে একে সব প্রার্থীর প্রাপ্ত মোট ভোট দেখা যাবে। পূর্ব থেকে সরবরাহ করা একটি ফরমে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যাগুলো লিখে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে দেবেন। প্রতিটি বুথের ফলাফল একীভূত করে প্রিজাইডিং অফিসার অন্য একটি ফরমে তুলে সই-স্বাক্ষর করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে তা পাঠানোর ব্যবস্থা নিবেন।
নির্বাচনের প্রকার ভেদে ইভিএম
সংসদ নির্বাচন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা কিংবা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব।
ইভিএম-এ আগে থেকেই ভোট ঢুকিয়ে রাখা
ভোট শুরুর আগে একটি ইভিএম-এ যে আগে থেকেই কোন ভোট ঢুকিয়ে রাখা হয় নাই তা পরীক্ষা করে নিতে হয়। কন্ট্রোল ইউনিটের “রেজাল্ট” সুইচটি পর পর চাপ দিলে একে একে সকল প্রার্থীর বিপরীতে কত ভোট মজুদ আছে তা ইউনিটটির ডিসপ্লেতে দেখা যায়। প্রতিটি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শূন্য হলে বুঝতে হবে যে কোন প্রার্থীর নামে পূর্ব থেকে ভোট জমা নাই।
পরীক্ষামূলক বা Demo ভোট
 
ভোট শুরুর আগে প্রতিটি ইভিএম Demo Mode বা পরীক্ষামূলক মোডে থাকে। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচনের দিন সকালে ভোট শুরুর পূর্বে পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতিতে পরীক্ষামূলক ভোট আয়োজন করবেন। পোলিং এজেন্টরা সকলের সামনে ইচ্ছা মতো এক এক করে ভোট দেবেন। কোন প্রার্থীকে কত ভোট দেয়া হলো তা লিখে রাখতে হবে। পরীক্ষামূলক ভোট প্রদান শেষ হলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটে “ডেমো রেজাল্ট” সুইচ চেপে চেপে একে একে প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট দেখাবেন। এতে করে মেশিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হবে।
আসল ভোট শুরুর আগে পরীক্ষামূলক ভোট মুছে ফেলা    
 
আসল ভোট শুরু করার আগে পরীক্ষামূলক ভোটগুলো মুছে ফেলতে হয়। কন্ট্রোল ইউনিটে “ক্লিয়ার” নামক একটি সুইচ রয়েছে যেটা চেপে পরীক্ষামূলকভাবে নেয়া সব ভোট মুছে ফেলা যায়। সেটা চেপে সব ভোট মুছে ফেলার পর সত্যি সত্যি তা মোছা হয়েছে কিনা তা “ডেমো রেজাল্ট” সুইচ চেপে পোলিং এজেন্টদের দেখানো হবে।
আসল ভোট শুরু করা 
 

 
আসল ভোট শুরুর জন্য কন্ট্রোল ইউনিটের “স্টার্ট” সুইচ চাপতে হয়। মেশিনে যদি কোন ভোট জমা থাকে তা হলে “স্টার্ট” সুইচ চাপলেও মেশিন চালু হবে না, আগে “মেমোরী ক্লিয়ার” সুইচ চেপে পরীক্ষামূলকভাবে নেয়া সব ভোট মুছতে হবে, তারপর আসল ভোট “স্টার্ট” করা যাবে। “স্টার্ট” সুইচ চাপার সাথে সাথে “মেমোরী ক্লিয়ার” সুইচটি অকার্যকর হয়ে যায়, এটি আর কখনো কাজ করবে না। তাই আসল ভোট মুছে ফেলার কোনই সুযোগ নেই।
ইলেকট্রিক শক খাওয়ার ভয় 
                                      
ইভিএম ব্যবহারকালে ইলেকট্রিক শক খাওয়ার কোনই সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি চলে ১২ ভোল্টের ব্যাটারীর সাহায্যে। তাই এই মেশিন সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে গেলে বা দুর্বল হয়ে পড়লে 
আমার  কেন্দ্রের ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে যায় তাকিয়ে দেখি ডিসপ্লেতে কছুই নাই।যদিও ১৭মিনিট এরমধ্য তা আবার ঠিককরাহয়
এই ইভিএম-এ এমন ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে যা একটানা ১২ ঘন্টা ধরে মেশিনটিকে চালাতে পারে। তাই ভোট গ্রহণকালে মাঝপথে ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই ।ভূল। তারপরও যদি মাঝপথে ব্যাটারী নষ্ট হয়ে যায় তাহলে একটি ভাল ব্যাটারী দিয়ে নষ্টটিকে প্রতিস্থাপন করলেই মেশিনটি ক্রটিহীনভাবে চালু হয়, কোন ভোটই নষ্ট হয় না।
ব্যালট ইউনিট অথবা কন্ট্রোল ইউনিট বিকল হলে
      
প্রতিটি কেন্দ্রে একটি অতিরিক্ত ইভিএম দেয়া হবে। প্রদত্ত ভোটের হিসাব কন্ট্রোল ইউনিটে সংরক্ষিত থাকে, তাই কোন ব্যালট ইউনিট বিকল হলে ভালো ইউনিট দিয়ে সেটিকে প্রতিস্থাপন করলেই চলবে। কন্ট্রোল ইউনিটও অনুরূপবাবে প্রতিস্থাপন করা যায়; এক্ষেত্রে বিকল কন্ট্রোল ইউনিটে সংগৃহীত ভোট কোনভাবেই নষ্ট হবে না। নতুন কন্ট্রোল ইউনিটের ফলাফলের সাথে বিকল কন্ট্রোল ইউনিটের ফলাফল যোগ করে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা যাবে।
এক সাথে একাধিক সুইচ চাপলে

 
 
ভোটার যদি একসাথে দুটি সুইচ চাপেন তাহলে ভোট গৃহীত হবে না এবং ভোটার তিনটি বীপ ধ্বনি শুনতে পাবেন। তার অর্থ হলো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট বাতিল হওয়ার কোন বিষয় নেই। বাস্তবক্ষেত্রে বিগত নির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে যে, কয়েকটি আসনে বিজয়ী প্রার্থী আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানের চেয়ে বাতিল ভোটের সংখ্যা বেশী। অর্থাৎ ভোটগুলো বাতিল না হলে ফলাফল উল্টোও হতে পারতো। ইল্ট্রেনিক ভোটিং মেশিনে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই।
এক ব্যক্তি একাধিক ভোট প্রদান করতে চাইলে
একজন ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীর পাশের সুইচ যতবারই চাপুন না কেন, প্রথমবার যে ভোটটি দিয়েছেন শুধু সেটিই গৃহীত হবে।
সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে ভোটারের গোপন আঁতাত
 
একজন ভোটার ভোট প্রদানের সাথে সাথে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আবারো “ব্যালট” সুইচ চেপে ভোটারকে আরেকটি ভোট প্রদানের সুযোগ করে দিতে চাইতে পারেন। এভাবে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে ভোটারের গোপন আঁতাতের মাধ্যমে ভোটার বুথের ভেতরে থাকা অবস্থায় বার বার ব্যালট ইউনিট চালু করে দেয়া প্রতিরোধে দুটো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রথমতঃ ভোটার সুইচ চেপে ভোট প্রদানের পর ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডের মধ্যে পোলিং অফিসার চাইলেও ব্যালট ইউনিটটি চালু করতে পারবেন না। একজন ভোটার ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর অন্য একজন ভোটার বুথে প্রবেশ করার মধ্যে এই রকম সময় এমনিতেই লেগে যায় বিধায় ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিরতি রাখা হয়েছে। দ্বিতীয়তঃ ভোটার ভোট প্রদানের সাথে সাথে কন্ট্রোল ইউনিটের সাথে সংযুক্ত বড় ডিসপ্লেতে ভোটের সংখ্যা এক বেড়ে যাবে। সুতরাং পোলিং এজেন্টরা সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন যে, একই ভোটার উপস্থিত থাকা অবস্থায় ব্যালট ইউনিট দ্বিতীয়বার চালু করা হয়েছে কিনা। তাই সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চাইলেও এমন কাজ সহজে করতে পারবেন না।
কন্ট্রোল ইউনিট ব্যবহারকারীর authenticity যাচাইয়ের ব্যবস্থা


 
প্রতিটি ইভিএম-এর সাথে একটি করে স্মার্ট কার্ড রয়েছে। এই কার্ডটি কন্ট্রোল ইউনিট এর নির্দিষ্ট স্থানে ঢুকিয়ে না রাখলে ইভিএমটি কাজ করবে না। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সরবরাহকৃত স্মার্ট কার্ড ছাড়া মেশিন কাজ করবে না। আর নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিদেরই স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করবে।
কেন্দ্র দখল করার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
     
আমাদের দেশে “কেন্দ্র দখল” এর ঘটনা কখনো কখনো ঘটে থাকে। ইভিএম-এ এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আছে। প্রথমতঃ এমন পরিস্থিতিতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটের “ক্লোজ” সুইচটি চেপে দিলেই দখলকারীরা কোন ভোট দিতে পারবে না। তাছাড়া ইভিএম-এর Smart Card সরিয়ে ফেললেও মেশিনটি চালু করা যাবে না। দ্বিতীয়তঃ প্রচলিত পদ্ধতিতে যেখানে কেন্দ্র দখল করে অতি দ্রুত সীল মেরে ব্যালট বাক্স বোঝাই করা যায়, ইভিএম-এর ক্ষেত্রে কাজটি ততটা সহজ নয়। মেশিনের সামনে বসে সুইচ চেপে চেপে ভোট দিতে হয় এবং এভাবে প্রতি মিনিটে ৫টির বেশী ভোট দেয়া যাবে না। এই সব ব্যবস্থাদি কেন্দ্র দখলকারীদের নিরুৎসাহিত করবে।
ইভিএম-এর প্রোগ্রাম
প্রতিটি ইভিএম-এ একটি প্রোগ্রাম থাকে যা নির্বাচনী বিধিমালা অনুসরণ করে কাজের ধাপগুলো সম্পন্ন করে। মেশিনে প্রোগ্রাম ভরার পূর্বে নির্বাচন কমিশন প্রোগ্রামটি পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করবেন। তাঁদের অনুমোদন পেলেই কেবল মেশিনে প্রোগ্রাম ভরা হবে। প্রোগ্রামটি মেশিনে যে চিপের মধ্যে ভরা হবে তা One Time Programmable (OTP) চিপ। একবার প্রোগ্রাম করা হলে সেই চিপটিতে নতুন করে আর প্রোগ্রাম করা যায় না। তাই মাঠ পর্যায়ে প্রোগ্রাম পরিবর্তন করার কোন আশঙ্কা নেই।

কইজান ভাইজানেরা আরোআছে

এই  EVM - Electronic Voting Machine   ইভিএম -  ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রচার কৃত ২ টি ভডিও
আপনাদের সুবিদাথে আমি  ২ টি ভডিও দিলাম
এবং
এতোখন জানলেন EVM কিভাবে কায কর
এবার জানুন কিভাবে ???
না ইকটু মজাকরেনি
শিয়াল যাচ্ছিল বনের রাস্তা দিয়ে।
হঠাৎ দেখল, রাস্তার মাঝখানে এক বাঘ বসে আছে।
শিয়াল বলল, ‘হুজুর, রাস্তার ওপর বসে আছেন যে? কোনো তকলিফ? থাকলে বলুন,
আপনার সেবায় বান্দা হাজির।’বাঘ বলল, ‘আর বোলো না শেয়াল,
এক শিকারি পায়ে গুলি করেছে। হাঁটতেই পারছি না।’
শিয়াল: তো ব্যাটা নবাবের মতো রাস্তার মাঝখানে বইসা আছিস ক্যান? রাস্তা ছাড়!
লেখক: Mohammad Moyazzem Hossain-Mith

এবার জানুন কিভাবে   EVM  থমকে গেল
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থমকে আছে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) প্রকল্প। সমস্যা সমাধানের অনিশ্চয়তায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি বাক্সবন্দি হয়ে আছে ইসিতে।
ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণা বিলম্বের বিতর্ক এড়াতে ইভিএম ব্যবহার স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। বর্তমানে ইভিএমের ব্যবহারিক সমস্যাটি তদন্তাধীন
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ইভিএম-এর সাহায্যে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ১৩০টি মেশিন ১৪ লক্ষ চার হাজার টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৪০০টি মেশিন ১ কোটি নয় লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা, তৃতীয় দফায় ৭০০টি মেশিন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার সাতশত চৌদ্দ টাকায় ক্রয় করে।
এতে কমিশন সর্বমোট বারশ’ ত্রিশটি মেশিন ক্রয় বাবদ চার কোটি ৪৮ লক্ষ চুরানব্বই হাজার সাতশ’ চৌদ্দ টাকা ব্যয় করে।
সর্বশেষ গত ১৫ জুন চার সিটি নির্বাচনে চারটি ওয়ার্ডে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হয়। 
কিন্তু রাজশাহী সিটির একটি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে এবং ফলাফল প্রকাশে একদিন বিলম্ব হয়। এরই প্রেক্ষিতে আপাতত ইভিএম প্রকল্পটি ব্যবহার করবে না বলে 
জনিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়। যা কমিশনকে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ফেলে।
ইভিএম মেশিনের যাবতীয় প্রযুক্তিগত বিষয়টি বুয়েট দেখাশোনা করে। বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী কমিশন তা ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে সমস্যা দেখা দিলে কমিশন এর সমাধান 
করতে পারে না।
কমিশন নির্বাচনে বিতর্কের উর্ধ্বে থাকতে চায়। তাই তারা ভোট গ্রহণে বিপত্তি বা ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব করে বিতর্কে জড়াতে চায় না। এই কারণে সাময়িকভাবে ইভিএম ব্যবহার 
স্থগিত করেছে কমিশন।
এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, ইভিএমের কিছু যান্ত্রিক ত্রুটিতে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান না 
হওয়া পর্যন্ত এর ব্যবহার করছি না।
এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়নি। সমস্যার গভীরতা ও সমাধান চেয়ে বুয়েটে চিঠি দিয়েছে কমিশন।
এছাড়া এই সমস্যা সমাধানে ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। গত একমাসে কমিটির একটি বৈঠকও হয়নি।
নির্বাচন কমিশনের সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বলেন, আমরা ইভিএমের সমস্যা সমাধান চেয়ে বুয়েটকে চিঠি দিয়েছি। এছাড়া আমাদের তদন্ত কমিটি সমস্যা সমাধানে বিভিন্নতথ্য উপাত্ত নিয়ে কাজ করছে। যেহেতু ইলেকট্রিক সমস্যা আমাদেরকে বিতর্কের মধ্যে ফেলেছে, তাই আমরা আপাতত এটি ব্যবহার করছি না।
ইসির সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ইভিএম একটি ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র। এই ধরনের মেশিন যে কোনো সময় বিকল হতে পারে, এটা বড় কোনো বিষয় না।
কী ধরনের সমস্যা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। পাওয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ব্যাটারিঅচল হয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
যান্ত্রিক এই ত্রুটি পুরোপুরি সমাধান সম্ভব নয় ,এর বিকল্প ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। তবে একবারে ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব না।
ইভিএম নিয়ে বর্তমান সরকার ব্যাপক আশাবাদী হলেও প্রধান বিরোধী দলসহ কয়েকটি দল প্রথম থেকেই ইভিএম ব্যবহারের বিপক্ষে ছিল। নির্বাচন কমিশন দ্রুত সময়ে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল প্রকাশে ইভিএমের সুবিধা গ্রহণ করার পক্ষে ছিল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার এই প্রকল্প হুমকির মুখে পড়বে।

0 comments:

 
Toggle Footer